ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়ায় ডেমোক্র্যাট শিবিরে দুশ্চিন্তা

 ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়ায় ডেমোক্র্যাট শিবিরে দুশ্চিন্তা



দুই মাস আগে শিকাগোয় অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত হন। তখন আশা করা হয়েছিল, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে ডেমোক্র্যাটদের জয় নিশ্চিত করবেন।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শীর্ষ নেতারা মনে করেছিলেন, কমলা হ্যারিসের জয় প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু এখন নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, তাদের উদ্বেগও বাড়ছে। সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে, কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন। এমনকি মিশিগান, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য এবং কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন ভোটারদের মধ্যেও ট্রাম্পের সমর্থন বেড়েছে।

কমলা হ্যারিস সম্প্রতি ট্রাম্পের সমালোচনায় কঠোর হয়েছেন। তিনি এক সম্মেলনে ট্রাম্পকে 'অসাবধানী' ও 'অদ্ভুত' বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং তাকে একজন ‘ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি বার্তা দিতে চাচ্ছেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে দেশ ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে পারে।

যদিও বিভিন্ন জরিপে কমলা জনগণের ভোটে এগিয়ে আছেন, তবে প্রেসিডেন্ট হতে হলে তাকে ইলেকটোরাল কলেজের মূল অঙ্গরাজ্যগুলোতেও জয়ী হতে হবে। অনেক ভোটার মনে করছেন, তারা কমলাকে এখনো পর্যাপ্তভাবে জানেন না এবং তাঁকে ভোট দেওয়া নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।

মিশিগানে কমলা হ্যারিসের চ্যালেঞ্জ

মিশিগান অঙ্গরাজ্যে কমলার জন্য বিশেষ চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এখানে ৩ লাখেরও বেশি আরব বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক বাস করেন। ২০২০ সালে বাইডেনের জয় সত্ত্বেও সাম্প্রতিক ইসরায়েল-গাজা সংঘাত মিশিগানের আরব আমেরিকানদের ডেমোক্র্যাটদের ওপর অসন্তুষ্ট করেছে। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলা বন্ধে ব্যর্থতার কারণে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করছেন তারা, এবং কমলাকেও এর জন্য দায়ী করছেন।

ডিয়ারবর্নের মধ্যপ্রাচ্যের ধাঁচের এক রেস্তোরাঁয় একদল ডেমোক্র্যাট সমর্থকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকে এবার ট্রাম্পকেই ভোট দিতে পারেন। একজন ডেমোক্র্যাট সমর্থক সামরা লাকম্যান বলেন, 'আমি এবার ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেব না, কারণ আমি তাদের ক্ষমা করতে পারছি না।' অন্য একজন ভোটার চাদি আবদুলরাজেক বলেন, ‘আমি যদি ডেমোক্র্যাটদের বর্তমান সরকারের জন্য শাস্তি দিতে চাই, তাহলে ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারি।’

যদিও কমলা হ্যারিস গাজা ও লেবাননের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, মিশিগানের ভোটাররা আশা করছেন, তিনি এমন পদক্ষেপ নেবেন যাতে ইসরায়েলের বেসামরিক হত্যা বন্ধ না হলে তাদের অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করা হয়।

Post a Comment

0 Comments