বুধহাটায় পন্ড ও জাল ভোটের নির্বাচন বাতিলের দাবী
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মাত্র ১৫ মিনিট ভোট গ্রহনের পর প্রতিপক্ষের হামলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ১৪৪ ধারায় ভোট বন্ধ হওয়ার পরও জাল ভোটের ব্যালট গণনার প্রহসনের ফলাফল বাতিলের দাবী জানান হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব ও নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খোরশেদ আলম এ দাবী করেছেন।
লিখিত ভাবে তিনি জানান, আমি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব। ২৯ জানুয়ারী বেউলা সাইক্লোন শেল্টার মাঠে নির্বাচনে আমি সাধারণ সস্পাদক প্রার্থী ছিলাম। ১৫ মিনিট ভোট চলার পর বিদ্রোহী গ্রুপের হামলায় ভোট বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়েগেলে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মামুনের নেতৃত্বে সোহাগের সহযোগিতায় আমার এজেন্ট নাজমুল ও আমার সহযোগি তারিকুলকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় ব্যালট পেপার ছিনিয়ে ইচ্ছেমত তার পক্ষে সীল মেরে বাক্সে ভরার এক পর্যায়ে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করলে ভোট বন্ধ হয়ে যায়। ৬ ঘন্টার মধ্যে মাত্র আধা ঘন্টা ভোট হলেও জাল ভোট গণনার নামে প্রহসন করা হয়। ৪৯০ ভোটারের মধ্যে ১০০ পোল না হলেও ১৮১ ভোট পোল দেখিয়ে মামুন ১৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময়ও অনিয়ম করা হয়েছে। জেলা আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়ককে আশাশুনিতে এনে ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে আমাদের গঠিত কমিটি বাদ দিয়ে উপজেলা সদস্য সচিবের পকেট কমিটিতে আমার স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। পরে দেখেছি ঐ কমিটিতে আওয়ামীলীগের লোক ঢোকানো হঢেছে
আমি উপজেলা আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে বিষয়টি জানালে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করা হলেও এখনো করা হয়নি। আমি একজন ত্যাগী নেতা। হামলা মামলায় জর্জরিত। জেল খেটেছি। অসম্পূর্ণ নির্বাচন, হামলায় পন্ড হওয়া ও ১৪৪ ধারা জারী করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও ফলাফল ঘোষনা বাতিল করা, পুনরায় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের ব্যবস্থা নিতে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন তিনি।
0 Comments