বুধহাটায় ব্যাংকে মডগেস্ট রাখা ঋণখেলাপীর জমি নিলামে কিনে বিপাকে বীথি পাইন
★ মর্টগেজ থাকা দাগের জমি গোপনে বিক্রী
★ নিলামে ক্রেতার দখলচ্যুতির অভিযোগ
★ মর্টগেজ ও জমি বিক্রেতা ভারতে
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় ব্যাংকে জমি মডগেজ রাখা ঋণখেলাপীর জমি নিলামে ক্রয় এবং মালিক কর্তৃক অন্যত্র জমি বিক্রয় করায় দুই ক্রেতার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের নির্দেশে প্রসেস সার্ভার মোহাম্মদ আলী সরজমিন গিয়ে বেলিফের প্রতি পরোয়ানা জারী করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১.৩০ টার দিকে বুধহাটার দক্ষিণ পাশে বুধহাটা মৌজায় এঘটনা ঘটেছে।
জমি আদিতে দখল দিবার নিমিত্তে বেলিফের প্রতি পরোয়ানা জারী কালে অর্থ ঋণ জজ ২য় আদালতের প্রসেস সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের জানান, সাতক্ষীরা অর্থ ঋণ ২য় আদালতের অর্থঋণ ০২/১৭ নং মামলার ৪/৪/২২ তারিখের রায়ের প্রেক্ষিতে অত্র অর্থ ঋণ জারী ০৩/২৩ নং মামলার ইং ২৭/১/২৫ তারিখের আদেশ মতে দখলী পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ হওয়ায়, ---- ২/১৭ নং মামলা রায়ের প্রেক্ষিতে বুধহাটা মৌজার এসএ ৬৭১ নামপত্তনী এসএ ৬৭১/২ নং খতিয়ানে লিখিত সাবেক ১৪৬৩, হাল ২৯৬৮ দাগের ০৬ শতক জমি এবং উহার উপরিস্থিত নির্মানাদি মামলার বাদী সোনালী ব্যাংক বুধহাটা শাখার পক্ষে ডিগ্রী দেওয়া হয়েছে। আমরা সরেজমিন দেখলাম, শুনলাম, আদালতের আদেশ শুনালাম। এব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট করা হবে।
ব্যাংকের কাছ থেকে আদালতের জমি নিলাম ক্রেতা বুধহাটা গ্রামের অজয় পাইনের স্ত্রী বীথি পাইন জানান, ঋণ খেলাপীর কারনে মডগেজ রাখা ঐ ০৬ শতক জমি আমি ব্যাংকের কাছ থেকে নিলামে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে খরিদ করি। বয়নামা দলিল নং ৪০৭৪/২৩, তাং ১২/১১/২৩। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাহবুবুল হক ডাবলুর উপস্থিতিতে জমির দখল বুঝিয়ে দেন এবং জমিতে থাকা টিনসেড ভবনে বসবাস করে আসছিলাম। আমাদের ছেলের পরীক্ষার কারনে ঢাকায় গেলে ২৬/১২/২৪ তাং ঘরসহ জমি জবর দখল নেয় বুধহাটা গ্রামের আবু সাইদ সরদার। বাড়ি ফিরে আমার স্বামী বাদী হয়ে এব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়রী (নং ১০৯৭, তাং ২৮/১২/২৪)।
এব্যাপারে জমিতে দখলে থাকা বুধহাটা গ্রামের মৃত মুজিবর রহমান সরদারের ছেলে আবু সাইদ জানান, বন্টন নামা সূত্রে চন্দন দেবনাথ তার পাওনা ১২ শতক জমির মধ্যে ৬ শতক জমি আমার কাছে কোবালা দলিল করে হস্তান্তর করেন, যার দলিল ননং ৪৪৮৪, তাং ৯/১২/২০১৫ এবং দখল বুঝিয়ে দেন। ক্রয়কৃত জমি দখল নিয়ে পাকা প্রাচীর নির্মান, বালি ভরাট করে অদ্যাবধি শান্তিপূর্ণ বসবাস করে আসছি। যার বিআরএস খতিয়ান ১৭, নামজারী খতিয়ান ২৪৬৭, দাগ নং ২৯৬৮। আমার জমিতে আমি দখলীকার আছি, অন্য কেউ জমি কিনে থাকলে কোথায় আছে সেটি খুজে নেওয়ার দায়িত্ব তাদের।
0 Comments