বটিয়াঘাটায় এস আই প্রবাসের নামে নানা অভিযোগ

 বটিয়াঘাটায় এস আই প্রবাসের নামে নানা অভিযোগ


খুলনা বটিয়াঘাটা ভান্ডার কোট ফারির এস আই প্রভাস নামে অভিযোগ উঠেছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চুরাই মাল ধোরে আসামির কাছ থেকে আর্থিক লেনদেন করে ছেড়ে দেন ও জুয়া, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে মাদকব্যবসা-জুয়ার পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন।

ভান্ডার কোট এলাকার মোঃ মিজান বলেন, প্রায়ই রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল বটিয়াঘাটায় ডুকছে। ভান্ডার কোট ফারির আইসি প্রভাস মাল ধরার পর আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এগুলো আবার ছেড়েও দিচ্ছে। গতকালই লোহারপাত রড সহ একটি গাড়ি আটক করল কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেই গাড়িটি ছেড়ে দেয়া হলো।

এই অভিযোগের বিষয়ে ঐ এলাকার মোঃ মহিউদ্দিন জানান, এর আগেও প্রভাস এ ধরনের অনেক কর্মকান্ড করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন এই চোরাই মাল ধরে আর ছেড়ে দেয়।

এলাকাবাসী মোঃ আলামিন বলেন, যে কোন সময় ভান্ডারকোট ইউনিয়ন সহ গোটা এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা সুষ্ঠ ও সুন্দর রাখার জন্য এস আই প্রভাসের শাস্তি দাবি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রভাস চন্দ্র সাহা জুয়া ও মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে মাদকব্যবসা ও জুয়ার পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
বটিয়াঘাটা এলাকাবাসীরা প্রবাস চন্দ্র সাহার দৃষ্টান্ত দাবি করেছেন এমনটা লোকাল জাতীয় পত্র-পত্রিকাসহ অনলাইনে প্রকাশ পেলেও আওয়ামী লীগের ছত্র ছায়ায় এসব থেকে তিনি পারবে যান।

এর আগে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট বটিয়াঘাটা থানা এস আই প্রভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে একটি গণ অভিযোগ করলেও তার কোন প্রভাব পড়েনি প্রবাসের।

এছাড়া  নিরীহ মানুষদের হয়রানি করছে এমন অভিযোগে এক ব্যবসায়ী মোনায়েম খান মিথুনের এ বিষয়ে একটি অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি ইনপোর্ট এর মাধ্যমে গাড়ী আমদানী করে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।
কিন্তু ভাণ্ডারকোর্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রবাস চন্দ্র সাহা তার নিকট চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে ব্যাবসায়ীকে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ সহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা সহ জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকে। এ বিষয়ে তার জীবনে নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ করেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে এস আই প্রবাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে এ সব অভিযোগে মিথ্যা বানোয়াট। একটি কুচক্রী মহল এসব অভিযোগ করে আমার নামে বদনাম করতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে আমার ঊর্ধতম কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তদন্ত করে আমাকে ওই একই জায়গায় আবার দায়িত্ব রত করেছিলেন।

এই ঘটনার বিষয় বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোস্তফা খায়রুল বাশার বলেন, এ বিষয়ে সৌনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাইনি। তবে যদি কোন অভিযোগ পাই তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

Post a Comment

0 Comments