বিষণ্নতা শুধু মস্তিষ্কের নয়, লিভারেরও ক্ষতি করতে পারে—জেনে নিন
বিষণ্নতা শুধু মস্তিষ্কের নয়, লিভারেরও ক্ষতি করতে পারে—জেনে নিন এর সমাধান। বর্তমান সময়ে লিভারের অসুখের পেছনে আমাদের বেশ কিছু খারাপ অভ্যাস দায়ী। ভুল খাবার নির্বাচন, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার না খাওয়া, এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা না মেনে খাবার খাওয়ার মতো অভ্যাসগুলো আমাদের লিভারের ক্ষতি করছে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা এবং ঘুমের অনিয়মও লিভারের জন্য ক্ষতিকর।
লিভার শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ার মূল অংশ। প্রতিদিন আমরা যে খাবার, পানীয় বা ওষুধ গ্রহণ করি, সেগুলো থেকে শরীরে টক্সিন জমা হয়। লিভারের কাজ হলো এই টক্সিনগুলো শরীর থেকে বের করে দেওয়া। তবে, অনেক সময় টক্সিনগুলো শরীরে ফ্যাটে জমা হয়, যা সহজে ফ্লাশ হয় না। শক্তির অভাব, খারাপ হজম, এবং মেজাজের পরিবর্তন—এসব লক্ষণ লিভারের অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া লিভার স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
লিভারের অন্যতম কাজ হলো বিপাক প্রক্রিয়া এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করা। দীর্ঘ সময় মানসিক চাপের ফলে কর্টিসল উৎপাদন বেড়ে যায়, যা শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে এবং লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কর্টিসলের মাত্রা বাড়লে লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে, যা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তৈরি করে। ফ্যাটি লিভার হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটায়, যা মানসিক চাপ, বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়।
লিভারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো শরীরে শক্তি উৎপাদন করা। ফ্যাটি লিভারের কারণে শক্তি উৎপাদন ব্যাহত হয়, যার ফলে ক্লান্তি, কাজের ইচ্ছা না থাকা, এবং মানসিক চাপের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও মানসিক চাপের ফলে অনেকে অ্যালকোহল, সিগারেট, বা অন্যান্য মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন, যা লিভারে ক্ষতিকর টক্সিন জমা করে। এই আসক্তিগুলো সরাসরি লিভারের ক্ষতি করে এবং মারাত্মক রোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে, লিভার সুস্থ রাখতে আমাদের উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা এবং আসক্তি থেকে দূরে থাকা।
0 Comments