ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চুরির সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন এবং সাজ্জাদ। তারা চারজনই ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে ঢাবির প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রক্টরিয়াল টিম চারজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে। ইতোমধ্যে হল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যা আগামীকাল সকালে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।
এর আগে, গতকাল রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল হোসেনের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেছে ঢাবি প্রশাসন। শাহবাগ থানায় দায়ের করা ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের উল্লেখ করা হয়েছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে যখন হলের শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে ছাত্রাবাস থেকে মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে আটক করে। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ মাসুম জানান, শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে হলের ভেতরে আটকে রেখে মারধর করেন।
মারধরের পর হল কর্তৃপক্ষ তোফাজ্জলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার পরিবর্তে প্রক্টরিয়াল টিম তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। পরে, পুলিশের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
0 Comments